এ আর্টিকেলের মাধ্যেমে আকীকা করার নিয়ম এবং আকীকা করার ফযীলত ও তাৎপর্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
আকীকা করার ফযীলত ও তাৎপর্য
হযরত সালমান বিন রা. এর বর্ণনা, রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, সন্তান জন্মগ্রহণ করলে তার সাথে একটি আকীকা জড়িত থাকে। সুতরাং তোমরা তার পক্ষ হতে যবাই (আকীকা) করবে এবং তার শরীর হতে কষ্টদায়ক জিনিস চুল ইত্যাদি দূর করবে।
রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, তোমাদের কেউ তার শিশুর তরফ থেকে আকীকা করতে চাইলে তার উচিত পুত্র সন্তানের পক্ষ থেকে দুটি ছাগল এবং কন্যা সন্তানের পক্ষ থেকে একটি ছাগল আকীকা করা।
হযরত যুবাইদাহ রা. বলেন, আমরা জাহিলিয়াতের যুগে কারো সন্তান জন্মগ্রহণ করলে যে ব্যক্তি একটি বকরী জবাই করে উহার রক্ত সন্তানের মাথায় মেখে দিত। যখন ইসলামের আবির্ভাব হলো তখন আমরা সন্তান জন্মের সপ্তম তারিখে বকরী যবাই করি এবং তার মাথা কামিয়ে জাফরান মাখিয়ে দেই এবং তার নাম রাখি।
আকীকা করার নিয়ম
পুত্র সন্তানের জন্য দুটি ছাগল বা ভেড়া অথবা করবানীর গরুর দুই সপ্তামাংশ এবং কন্যা সন্তানের জন্য একটি ছাগল বা ভেড়া অথবা কুরবানীর গরুর একাংশ দ্বারা আকীকা করলেও ক্ষতি নেই অথবা আকীকা না করলেও কোন ক্ষতি নেই।
ছেলে মেয়ে উভয়ের জন্য আকীকার গরু ছাগলের নর ও মাদী উভয়টিকেই কুরবানী দেওয়া জায়েয।
আকীকার গোশত মাতা, পিতা, আত্মীয় স্বজন সবাই খেতে পারবে লোকজনকে দাওয়াত দিয়ে খাওয়ানো সবই জায়েয আছে।
আকীকার গরুর জন্য ঐ সকল শর্ত প্রযোজ্য, যে সকল শর্ত কুরবানির গরু ছাগলের বেলায় প্রযোজ্য। যেমন, ছাগলের এক বছর বয়সের এবং গরু দুই বছর বয়সের হওয়া ইত্যাদি।
আরো জানুন
ছেলে শিশুর ইসলামীক নামের তালিকা
মেয়ে শিশুর ইসলামীক নামের তালিকা