আল্লাহর ৯৯ নাম বাংলা অর্থসহ
আল্লাহ আমাদের একমাত্র সৃষ্টিকর্তা, এবং তার কোনো অংশীদার বা সমকক্ষ নেই। আল্লাহর ৯৯ টি নাম রয়েছে, যেগুলি তার অসীম গুণাবলীর প্রতিফলন। সকল সৃষ্টির প্রতি তাঁর অসীম দয়া ও করুণা প্রকাশ করেন। ইসলাম ধর্মে আল্লাহর একত্ব বিশ্বাস করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তার ইচ্ছায় পৃথিবী ও আসমান পরিচালিত হয়। তিনি যা চান তা হয়, যা চান না তা হয় না। তিনি তাঁর বান্দাদের ক্ষমা করে দেন যদি তারা তওবা করে এবং তাঁর দিকে ফিরে আসে। আল্লাহর ৯৯ নাম বাংলা অর্থ এবং ফজিলত জানার মাধ্যমে, আমরা তাঁর অসীম গুণাবলি ও মহিমা বুঝতে পারি এবং আল্লাহর সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারি।
আল্লাহর নামগুলি যেহেতু অত্যন্ত পবিত্র, তাই এগুলো স্মরণ করার মাধ্যমে এক ধরনের আধ্যাত্মিক শান্তি পাওয়া যায়। নিচে আল্লাহর নাম আরবিতে এবং বাংলা অর্থসহ ফজিলত আলোচনা করা হয়েছে।
আল্লাহর ৯৯ নামের তালিকা
ক্রম | আরবি এবং বাংলা উচ্চারণ | বাংলা অর্থ |
১. | الرَّحْمَنُ= আর-রহ়মান | সবচাইতে দয়ালু |
২. | الرَّحِيمُ= আর-রহ়ীম | সবচাইতে ক্ষমাশীল |
৩. | الْمَلِكُ= আল-মালিক | অধিপতি |
৪. | الْقُدُّوسُ= আল-ক্বুদ্দূস | নিখুঁত |
৫. | السَّلَامُ= আস-সালাম | ত্রাণকর্তা |
৬. | الْمُؤْمِنُ= আল-মু’মিন | সত্য ঘোষণাকারী |
৭. | الْمُهَيْمِنُ= আল-মুহাইমিন | প্রতিপালক |
৮. | الْعَزِيزُ= আল-’আযীয | সবচেয়ে সম্মানিত, সর্বশক্তিমান |
৯. | الْجَبَّارُ= আল-জাব্বার | দুর্নিবার |
১০. | الْمُتَكَبِّرُ= আল-মুতাকাব্বির | সর্বশ্রেষ্ঠ |
১১. | الْخَالِقُ= আল-খলিক্ব | সৃষ্টিকর্তা |
১২ | الْبَارِئُ= আল-বারি’ | পরিকল্পনাকারী |
১৩. | الْمُصَوِّرُ= আল-মুসউয়ির | আকৃতিদানকারী |
১৪. | الْغَفَّارُ=আল-গফ্ফার | পুনঃপুনঃ মার্জনাকারী |
১৫. | الْقَهَّارُ= আল-ক্বহ্হার | দমনকারী |
১৬. | الْوَهَّابُ= আল-ওয়াহ্হাব | স্থাপনকারী |
১৭. | الرَّزَّاقُ= আর-রযযাক্ব | প্রদানকারী |
১৮. | الْفَتَّاحُ= আল-ফাত্তাহ় | প্রারম্ভকারী |
১৯. | الْعَلِيمُ= আল-’আলীম | সর্বদর্শী, সর্বজ্ঞানী |
২০. | الْقَابِضُ= আল-ক্ববিদ় | সরলপথ প্রদর্শনকারী |
২১. | الْبَاسِطُ= আল-বাসিত | প্রসারণকারী |
২২. | الْخَافِضُ= আল-খ়¯ফিদ় | অপমানকারী |
২৩. | الرَّافِعُ= আর-ঢ়¯ফি’ | উন্নীতকারী |
২৪. | الْمُعِزُّ= আল-মু’ইয্ব | সম্মানপ্রদানকারী |
২৫. | الْمُذِلُّ= আল-মুঝ়িল | সম্মানহরণকারী |
২৬. | السَّمِيعُ= আস-সামী’ | সর্বশ্রোতা |
২৭. | الْبَصِيرُ= আল-বাসী়র | সর্বদ্রষ্টা |
২৮. | الْحَكَمُ= আল-হা়কাম | বিচারপতি |
২৯. | الْعَدْلُ= আল-’আদল্ | নিখুঁত |
৩০. | اللَّطِيفُ= আল-লাতীফ | অমায়িক |
৩১. | الْخَبِيرُ= আল-খবীর | সম্যক অবগত |
৩২. | الْحَلِيمُ= আল-হ়ালীম | ধৈর্যবান |
৩৩. | الْعَظِيمُ= আল-’আযীম | সুমহান |
৩৪. | الْغَفُورُ = আল-গ’ফূর | মার্জনাকারী |
৩৫. | الشَّكُورُ= আশ-শাকূর | সুবিবেচক |
৩৬. | الْعَلِيُّ= আল-’আলিই | মহীয়ান |
৩৭. | الْكَبِيرُ= আল-কাবীর | সুমহান |
৩৮. | الْحَفِيظُ= আল-হ়াফীয | সংরক্ষণকারী |
৩৯. | الْمُقِيتُ= আল-মুক্বীত | লালনপালনকারী |
৪০. | الْحَسِيبُ= আল-হ়াসীব | মীমাংসাকারী |
৪১. | الْجَلِيلُ= আল-জালীল | গৌরবান্বিত |
৪২. | الْكَرِيمُ= আল-কারীম | উদার, অকৃপণ |
৪৩. | الرَّقِيبُ= আর-রক্বীব | সদা জাগ্রত |
৪৪. | الْمُجِيبُ= আল-মুজীব | উত্তরদাতা |
৪৫. | الْوَاسِعُ= আল-ওয়াসি’ | সর্বত্র বিরাজমান |
৪৬. | الْحَكِيمُ= আল-হ়াকীম | সুদক্ষ |
৪৭. | الْوَدُودُ= আল-ওয়াদূদ | স্নেহশীল |
৪৮. | الْمَجِيدُ= আল-মাজীদ | মহিমান্বিত |
৪৯. | الْبَاعِثُ= আল-বা‘ইস় | পুনরুত্থানকারী |
৫০. | الشَّهِيدُ= আশ-শাহীদ | সাক্ষ্যদানকারী |
৫১. | الْحَقُّ= আল-হাক্ক্ব | প্রকৃত সত্য, |
৫২. | الْوَكِيلُ= আল-ওয়াকীল | আস্থাভাজন, উকিল |
৫৩. | الْقَوِيُّ= আল-ক্বউই | ক্ষমতাশালী |
৫৪. | الْمَتِينُ= আল মাতীন | সুদৃঢ়, সুস্থির |
৫৫. | الْوَلِيُّ= আল-ওয়ালিই | শুভাকাঙ্ক্ষী |
৫৬. | الْحَمِيدُ= আল-হ়ামীদ | কল প্রশংসার দাবীদার, |
৫৭. | الْمُحْصِي= আল-মুহ়সী | গণনাকারী |
৫৮. | الْمُبْدِئُ= আল-মুব্দি’ | অগ্রণী, প্রথম প্রবর্তক |
৫৯. | الْمُعِيدُ= আল-মু’ঈদ | পুনঃপ্রতিষ্ঠাকারী |
৬০. | الْمُحْيِي= আল-মুহ়ীই | জীবনদানকারী |
৬১. | الْمُمِيتُ= আল-মুমীত | মৃত্যু আনয়নকারী |
৬২. | الْحَيُّ= আল-হ়াইই | চিরঞ্জীব |
৬৩. | الْقَيُّومُ= আল-ক্বইয়ূম | অভিভাবক |
৬৪. | الْوَاجِدُ= আল-ওয়াজিদ | পর্যবেক্ষক, চিরস্থায়ী |
৬৫. | الْمَاجِدُ= আল-মাজিদ | সুপ্রসিদ্ধ |
৬৬. | الْوَاحِدُ= আল-ওয়াহ়িদ | এক, অনন্য, অদ্বিতীয় |
৬৭. | الصَّمَدُ= আস-সমাদ | অবিনশ্বর, |
৬৮. | الْقَادِرُ= আল-ক্বদির | সর্বশক্তিমান |
৬৯. | الْمُقْتَدِرُ= আল-মুক্বতাদির | প্রভাবশালী |
৭০. | الْمُقَدِّمُ= আল-মুক্বদ্দিম | অগ্রগতিতে সহায়তা প্রদানকারী |
৭১. | الْمُؤَخِّرُ= আল-মুআক্ষির | বিলম্বকারী |
৭২. | الْأَوَّلُ= আল-আউয়াল | সর্বপ্রথম, যার কোন শুরু নাই |
৭৩ | الْآخِرُ= আল-আখির | সর্বশেষ, যার কোন শেষ নাই |
৭৪. | الظَّاهِرُ= আজ়-জ়়হির | সুস্পষ্ট, সুপ্রতীয়মান, বাহ্য (যা কিছু দেখা যায়) |
৭৫. | الْبَاطِنُ= আল-বাত়িন | লুক্কায়িত, অস্পষ্ট, অন্তরস্থ |
৭৬. | الْوَالِيَ= আল-ওয়ালি | বন্ধুত্বপূর্ণ প্রভু, সুরক্ষাকারী বন্ধু |
৭৭. | الْمُتَعَالِي= আল-মুতা’আলী | সর্বোচ্চ মহিমান্বিত |
৭৮. | الْبَرُّ= আল-বার্র | কল্যাণকারী |
৭৯. | التَّوَّابُ= আত-তাওয়াব | বিনম্র, সর্বদা আবর্তিতমান |
৮০. | الْمُنْتَقِمُ= আল-মুন্তাক্বিম | প্রতিফল প্রদানকারী |
৮১. | الْعَفُوُّ= আল-’আফুউ | শাস্তি মউকুফকারী |
৮২. | الرَّءُوفُ= আর-র’ওফ | সমবেদনা প্রকাশকারী |
৮৩. | مَالِكُ الْمُلْكِ= মালিকুল মুলক্ | সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী |
৮৪. | ذُو الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ= জ়়ুল জালালি ওয়াল ইকরম | মর্যাদা ও ঔদার্যের প্রভু |
৮৫. | الْمُقْسِطُ= আল-মুক্বসিত় | প্রতিদানকারী |
৮৬. | الْجَامِعُ= আল-জামি’ | ঐক্য সাধনকারী |
৮৭. | الْغَنِيُّ= আল-গ’নিই | ঐশ্বর্যবান |
৮৮. | الْمُغْنِي= আল-মুগ’নি | উদ্ধারকারী |
৮৯. | الْمَانِعُ= আল-মানি’ | রক্ষাকর্তা |
৯০ | الضَّارُّ= আদ়-দ়়র্র | যন্ত্রণাদানকারী |
৯১. | النَّافِعُ= আন-নাফি’ | অনুগ্রাহক |
৯২. | النُّورُ= আন-নূর | আলোক |
৯৩. | الْهَادِي= আল-হাদী | পথপ্রদর্শক |
৯৪. | الْبَدِيعُ= আল-বাদী’ | অতুলনীয় |
৯৫. | الْبَاقِي= আল-বাকী | অসীম, অপরিবর্তনীয়, অনন্ত |
৯৬. | الْوَارِثُ= আল-ওয়ারিস় | সবকিছুর উত্তরাধিকারী |
৯৭. | الرَّشِيدُ= আর-রশীদ | সঠিক পথের নির্দেশক |
৯৮. | الاحد= আল-আহাদ | এক |
৯৯. | الصَّبُورُ= আস-সবূর | ধৈর্যশীল |
আল্লাহর ৯৯ নামের ফজিলত
আল্লাহর প্রতি একত্ব এবং তাঁর গুণাবলীর ওপর বিশ্বাস আমাদের জীবনকে সঠিক পথে পরিচালিত করে। আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস আমাদেরকে ভালো কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করে এবং ঈমানের শক্তি বৃদ্ধি ও ধৈর্যশীল হতে সাহায্য করে। আল্লাহর নামগুলো আমাদের জীবনের মূল শক্তি এবং তা আমাদেরকে আল্লাহর সান্নিধ্য, দয়া এবং ক্ষমা লাভের পথ প্রদর্শন করে। নিচে আল্লাহর ৯৯ টি নামের ফজিলত আলো আলোচনা করা হয়েছে।
আর-রহমান এর ফজিলত: রহমান” নাম উচ্চারণ করলে এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলে তাঁর করুণার ছায়ায় পাপ ক্ষমা পেতে সাহায্য হয়।
মানসিক প্রশান্তি:”আর রহমান” নামের জিকির করলে মন শান্ত হয় এবং জীবনের দুঃখ-কষ্ট সহ্য করার শক্তি লাভ করা যায়।
“ইসমে আজম” হিসেবে এটি গুরুত্বপূর্ণ, এবং এটি নিয়মিত পাঠ করলে জীবন বরকতময় হয়।
আর-রাহীম এর ফজিলত: আর রহীম” নামটি আল্লাহর সেই গুণ নির্দেশ করে, যা তাঁর করুণা এবং ভালোবাসা সৃষ্টিকুলের প্রতি অবিরত এবং চিরস্থায়ী।ইয়া রহীমু” বলে আল্লাহকে ডাকলে জীবনের দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং তাঁর সাহায্য লাভ করা যায়।আর রহীম” নামের জিকির মনের প্রশান্তি এবং আত্মবিশ্বাস এনে দেয়। এটি আমাদের আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস আরও দৃঢ় করে।
আল-মালিক এর ফজিলত: নাম স্মরণ করলে আমাদের অন্তরে বিনয় জন্মায়, এবং আমরা আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আত্মসমর্পণ করতে শিখি।আল-মালিক” নামের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করলে আমরা বুঝি যে আমাদের রিজিক, জীবন এবং মৃত্যু সবই আল্লাহর হাতে। তাই দুঃশ্চিন্তা দূর হয়।কিয়ামতের দিন আল্লাহ “আল-মালিক” হিসেবে সকলের বিচার করবেন। তাই এই নাম আমাদের আখিরাতের প্রস্তুতির গুরুত্ব স্মরণ করিয়ে দেয়।
আল-কুদ্দূস এর ফজিলত: এই নাম আমাদের শিক্ষা দেয় আত্মাকে পবিত্র রাখা এবং অপবিত্রতা, মিথ্যা ও অন্যায় থেকে বিরত থাকা।আল-কুদ্দুস” নামের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর কাছে নৈকট্য লাভ করতে পারি এবং তাঁর ভালোবাসা অর্জন করতে পারি।আল-কুদ্দুস” নাম আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে আল্লাহর ইবাদত করার সময় মন ও আত্মাকে পবিত্র রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আস-সালাম এর ফজিলত: আস-সালাম” নাম জিকির করলে হৃদয়ে শান্তি আসে এবং মনের দুশ্চিন্তা দূর হয়।এই নাম জিকির করলে আল্লাহ জীবনকে বিপদ, অশান্তি ও ক্ষতি থেকে রক্ষা করেন।শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতা থেকে মুক্তির জন্য “ইয়া সালাম” নামে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা অত্যন্ত কার্যকর।
আল-মুমিন এর ফজিলত: আল-মুমিন” নাম জিকির করলে আমাদের ঈমান দৃঢ় হয় এবং আমরা আল্লাহর প্রতি সম্পূর্ণ আস্থা রাখতে পারি।আল-মুমিন” নামের জিকির জীবনের বিপদ ও শত্রুতার হাত থেকে সুরক্ষা দেয়।জীবনের দুঃখ-কষ্ট এবং মানসিক অশান্তি দূর করার জন্য “আল-মুমিন” নাম অত্যন্ত কার্যকর।
আল-মুহাইমিন এর ফজিলত: আল-মুহাইমিন” নাম আমাদের শেখায় যে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহর উপর ভরসা রাখতে হবে। তিনি সবকিছুর রক্ষাকর্তা।যখন আমরা দুর্বল বোধ করি বা বিপদের সম্মুখীন হই, তখন আল্লাহর এই নাম স্মরণ করলে সাহায্য ও রক্ষা লাভ করা যায়।আল্লাহর কাছে এই নাম ধরে দোয়া করলে দুনিয়া ও আখিরাতে নিরাপত্তা এবং শান্তি লাভ হয়।
আল-আজীজ এর ফজিলত: আল-আজীজ” নাম আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে আল্লাহর শক্তি এবং মর্যাদা সম্পর্কে আমাদের পূর্ণ আস্থা রাখা উচিত।আল-আজীজ” নাম জিকির করলে নিজের জীবনেও আত্মবিশ্বাস এবং মানসিক শক্তি বৃদ্ধি পায়।আল-আজীজ” নামের জিকির আমাদের জীবনের প্রতিকূলতা ও কঠিন সময় পার করার শক্তি জোগায়।
আল্লাহর নাম আল জব্বার এর ফজিলত: জিকির করলে জীবনের সকল সংকট ও দুর্বলতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। অন্যায়-অবিচারের সময় এই নামের জিকির করলে আল্লাহ সুবিচার করেন। আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি ও হতাশা দূর করার জন্য এই নাম স্মরণ করা বিশেষ উপকারী।
আল-মুতাকাব্বির এর ফজিলত: আল্লাহর একমাত্র গৌরব ও শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী হওয়া আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে আমরা কখনো অহংকারী হতে পারি না।যেহেতু আল্লাহ ন্যায় প্রতিষ্ঠা করেন, আমরা তাঁর পথে থেকে জীবনযাপন করতে শিখি।এই নামের জিকির আমাদের অন্তরকে পরিষ্কার করে এবং আত্মাকে পবিত্র করে।
আল্লাহর নাম আ-খালিক এর ফজিলত: নামের জিকির করলে জীবনের উদ্দেশ্য এবং আল্লাহর পরিকল্পনার প্রতি পূর্ণ আস্থা জন্মায়। আল্লাহর সৃষ্টি সম্পর্কে গভীর উপলব্ধি আসে এবং তাকে গ্রহণ করার মানসিকতা বৃদ্ধি পায়। দুঃসময়ে এই নাম স্মরণ করলে স্বস্তি পাওয়া যায়, কারণ সব কিছু আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি তা সুন্দরভাবে পরিচালনা করেন।
আল্লাহর নাম আল-বারী এর ফজিলত: আল-বারী'” নামের জিকির আমাদের জীবনের অনিশ্চয়তা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শক্তি এবং আত্মবিশ্বাস প্রদান করে। ইয়া বারী’ (হে স্রষ্টা)” নামের জিকির করলে অন্তর শান্ত হয় এবং মনোবল বৃদ্ধি পায়। সৃষ্টির প্রতি আল্লাহর পরিকল্পনা উপলব্ধি করে জীবনধারার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য স্পষ্ট হয়। দুঃসময় বা বিপদে, আল্লাহর “আল-বারী'” নামের স্মরণ আমাদের শান্তি ও শক্তি জোগায়
আল-মুসিউর এর ফজিলত: আল-মুসিউর নামের জিকির আমাদের মনকে শান্তি দেয়, কারণ আমরা জানি যে আল্লাহ সব কিছু জানেন এবং তাঁর জ্ঞান দিয়ে তিনি সঠিক পথ নির্দেশ করবেন।আল্লাহ তাঁর জ্ঞান দিয়ে আমাদের উদ্দেশ্য এবং সমস্যার সমাধান করতে সহায়তা করেন, যে কারণে এই নামের জিকির আমাদের জন্য খুবই উপকারী।আল-মুসিউর নামের জিকির আমাদেরকে শেখায় যে আমাদের জীবনের যে কোনো পরিস্থিতিতেই আল্লাহর জ্ঞান পরিপূর্ণ, এবং তাঁর সিদ্ধান্ত আমাদের জন্য সর্বোত্তম।
আল্লাহর নাম আল-গফ্ফার এর ফজিলত: আল-গাফফার নাম আল্লাহর সেই গুণ প্রকাশ করে, যা তাঁর অসীম দয়া এবং বান্দাদের প্রতি তাঁর সদয় মনোভাবের প্রতীক।আল-গাফফার” নামের জিকির আমাদের পাপ মাফ করার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ এনে দেয়। এটি আমাদের আত্মশুদ্ধির পথ প্রদর্শন করে।আল্লাহর এই নাম আমাদের শেখায় যে কোনো অবস্থাতেই আমরা যদি সঠিকভাবে তওবা করি, আল্লাহ আমাদের সমস্ত পাপ ক্ষমা করে দিবেন।
আল-কহহার এর ফজিলত: ইয়া কাহহার নামের জিকির করলে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায় এবং বিপদ-মুক্তি লাভ করা যায়।নিয়মিত এই নামের জিকির করলে আমাদের হৃদয়ে শক্তি এবং আস্থার অনুভূতি আসে, এবং জীবনের প্রতিকূলতা থেকে মুক্তি পাওয়ার আশা জাগে।এই নামের মাধ্যমে আল্লাহর অসীম শক্তি এবং ক্ষমতায় বিশ্বাস দৃঢ় হয়, যা আমাদের মানসিক শান্তি দেয়
আল্লাহর নাম আল ওয়াব এর ফজিলত: আল-ওহাব” নামের মাধ্যমে এক মুসলমান জানে যে, আল্লাহ অসীম দয়ালু এবং তিনি তার সমস্যার সমাধান দেবেন যদি সে আল্লাহর কাছে সাহায্য চায়।
এই নামের জিকির আল্লাহর কাছ থেকে অসীম দয়া এবং দানের আশ্বাস এনে দেয়, যা একজন মুসলমানকে আত্মবিশ্বাসী ও সান্ত্বনা দেয়। নিয়মিত এই নামের জিকির করলে যেকোনো শত্রু, সমস্যা, বা বিপদের বিরুদ্ধে আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার আশা বৃদ্ধি পায়।
আল্লাহর নাম আর-রজ্জাক এর ফজিলত: আল্লাহ একমাত্র সেই সত্তা যিনি সকল সৃষ্টিকে তাদের প্রয়োজনীয় রিজিক প্রদান করেন। তাঁর দান কোনো সীমা বা বাধা নেই এবং তিনি সবার জন্য তার প্রয়োজনীয়তানুযায়ী রিজিক প্রদান করেন।আল-রাজ্জাক” নামের স্মরণ আমাদের মনে আস্থা তৈরি করে যে, আমাদের জীবনের সমস্ত রিজিক আল্লাহ দান করেন এবং তিনি কখনোই আমাদের প্রয়োজন পূর্ণ করতে ব্যর্থ হবেন না।নিয়মিত আল-রাজ্জাক নামের জিকির করলে, একজন মুসলমানের জীবনে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং সফলতা আসার আশ্বাস পাওয়া যায়, কারণ আল্লাহ রিজিক প্রদানকারী।
আল-ফাত্তাহ এর ফজিলত: আল্লাহ “আল-ফাত্তাহ” হিসেবে তাঁর বান্দাদের মাঝে ন্যায়বিচার করেন এবং তাদের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন।”আল-ফাত্তাহ” নামের জিকির করলে মানুষের জন্য সাফল্যের দরজা খুলে যায়। যারা কোনো কাজে ব্যর্থ হচ্ছেন বা বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন, তাদের জন্য এই নাম দারুণ উপকারী।এই নামের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর দয়া ও অনুগ্রহের প্রতি গভীরভাবে বিশ্বাস স্থাপন করতে পারি এবং তাঁর কাছ থেকে সাহায্য আশা করতে পারি।
আল-কবিদ এর ফজিলত: আল-কাবিদ” নাম আমাদের শেখায় যে আল্লাহ কখনো রিজিক বা সুযোগ সংকুচিত করে আমাদের পরীক্ষা করতে পারেন, এবং এটি আমাদের জন্য কল্যাণকর হতে পারে।জীবনে কোনো অভাব বা সমস্যা দেখা দিলে এই নামের জিকির করলে আল্লাহর কাছ থেকে রহমত এবং সাহায্য পাওয়া যায়।এই নামের জিকির আমাদের মনে আশা জাগায় যে আল্লাহই সংকীর্ণতার অবসান করবেন।
আল্লাহর নাম আল বাসিত এর ফজিলত: আল-বাসিত” নামের জিকির বান্দার জীবনে রিজিক, বরকত এবং সফলতা আনয়ন করে।আল্লাহ “আল-বাসিত” নামের মাধ্যমে বান্দার আত্মা ও মন প্রসারিত করেন, যা তার ঈমান ও আধ্যাত্মিকতায় উন্নতি আনে।”আল-বাসিত” নাম আমাদের মনে আল্লাহর অসীম দয়া এবং অগাধ ভালোবাসার অনুভূতি সৃষ্টি করে।
আল-খফিদু এর ফজিলথ: আল্লাহর এই নামের স্মরণ অহংকার ও আত্মগরিমা দূর করে এবং বিনয়ী হতে সাহায্য করে।আল্লাহর এই নাম আমাদের সংকটময় সময়ে ধৈর্য ধরতে শেখায় এবং আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, উত্থান-পতন উভয়ই তাঁর ইচ্ছায় ঘটে।”আল-খাফিদু” নাম জালিম ও অন্যায়কারীদের সতর্ক করে যে, তাদের অন্যায়ের প্রতিফল আল্লাহর হাতেই রয়েছে।
আর-রফীই এর ফজিত: আল্লাহর এই নামের জিকির একজন বান্দাকে দুনিয়া ও আখিরাতে উচ্চ মর্যাদা এনে দেয়।এই নাম আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, আল্লাহই আমাদের অবস্থান ও মর্যাদা বাড়ানোর মূল উৎস।যারা অন্যায় বা জুলুমের শিকার হয়েছেন, তাদের জন্য এই নাম সান্ত্বনার উৎস। আল্লাহ তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন এবং তাদের অধিকার ফিরিয়ে দেবেন।
আল-মুইজ এর ফজিলত: সম্মান ও মর্যাদা অর্জনের জন্য আল্লাহর ওপর নির্ভর করতে হবে।আল্লাহ কেবল সৎ, বিনয়ী এবং তাঁর পথে চলা মানুষদের সম্মানিত করেন।প্রকৃত সম্মান এবং মর্যাদা আখিরাতে অর্জিত হয়। তাই আমাদের উচিত আখিরাতের জন্য কাজ করা।
আল-মুযিল্লু এর ফজিলত: এই নাম আমাদের শেখায় যে, আল্লাহ যাকে ইচ্ছা লাঞ্ছিত করেন। তাই অহংকার করা উচিত নয়।আল-মুযিল্লু” নাম আমাদের অহংকার ও আত্মম্ভরিতা থেকে দূরে রাখে এবং আত্মাকে শুদ্ধ করে।এই নামের জিকির করলে আল্লাহ আমাদের অন্যায়কারী ও জালিমদের হাত থেকে রক্ষা করেন।দুনিয়ার সম্মান ও অপমানকে আল্লাহর পরীক্ষা হিসেবে গ্রহণ করতে সাহায্য করে।
আল্লহর নাম আস সামি এর ফজিলত: ইয়া সামি‘” (হে সর্বশ্রোতা) নামের জিকির আমাদের দোয়া কবুলের সম্ভাবনা বাড়ায়।যখন আমরা কষ্টে থাকি, এই নামের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে পারি।আল্লাহ সব শুনছেন—এই বিশ্বাস আমাদের কথা বলার সময় সতর্ক থাকতে শেখায়।আল্লাহ সবসময় আমাদের কথা শুনছেন, তাই তাঁর প্রতি পূর্ণ আস্থা রাখা উচিত।
আল-বাছীর এর ফজিলত: এই নামের মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি যে, আল্লাহ আমাদের সব কাজ দেখছেন, যা আমাদের সতর্ক ও দায়িত্বশীল হতে উৎসাহিত করে।যারা ন্যায়পথে থাকে এবং সৎ কাজ করে, তাদের জন্য আল-বাসীর নাম আশার উৎস।”ইয়া বাসীর” (হে সর্বদ্রষ্টা) নামের জিকির আমাদের সৎ পথে থাকার প্রেরণা জোগায়।আল-বাসীর নামের জিকির গোপন দোয়া কবুলে সাহায্য করে।জীবনের যেকোনো কাজে সফলতা অর্জনে আল্লাহর ওপর নির্ভরশীল হতে শেখায়।
আল-হকাম এর ফজিলত: আল্লাহর প্রতিটি কাজ প্রজ্ঞাপূর্ণ, তাই আমাদের উচিত ধৈর্য এবং কৃতজ্ঞতার সঙ্গে তা মেনে নেওয়া।জ্ঞান ও প্রজ্ঞার পথ অনুসরণ করা একজন মুমিনের জন্য অপরিহার্য।আল্লাহর প্রজ্ঞার প্রতি কৃতজ্ঞ থেকে সঠিকভাবে ইবাদত করা।
আল- আদল নামের ফজিলত: আল্লাহর নাম “আল-আদল” আমাদের নিশ্চিত করে যে, আল্লাহ সবসময় সঠিক বিচার করবেন, যা আমাদের মধ্যে শান্তি এবং নিরাপত্তা আনে।যখন আমরা জানি যে আল্লাহ সবকিছুর সঠিক বিচার করবেন, তখন আমাদের মন শান্ত থাকে এবং আমরা আত্মবিশ্বাসী হই।আল্লাহর নাম “আল-আদল” আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, আল্লাহ সবকিছুর সঠিক বিচার করবেন এবং তা আমাদের জীবনের শান্তির জন্য জরুরি।
আল-লতিফ নামের ফজিলত: আল্লাহর নাম আল-লতীফ তাঁর দয়ার এবং সহানুভূতির অসীম মাত্রা প্রকাশ করে। তিনি আমাদের প্রতি অতি সূক্ষ্মভাবে দৃষ্টি রাখেন এবং আমাদের ক্ষতি থেকে রক্ষা করেন।আল্লাহ আমাদের অনুপস্থিতিতে বা অজান্তে বিপদ থেকে রক্ষা করেন, এই বিশ্বাস আমাদের মনকে প্রশান্ত রাখে এবং আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ থাকে না।আল্লাহ আমাদের জীবনে এমন সময় অদৃশ্য সৌভাগ্য এবং সফলতা দেন যা আমরা পূর্বাভাস করতে পারি না।
আল-খবীর এর ফজিলত: যেহেতু আল্লাহ সব কিছু জানেন, তাই আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই তাঁর ওপর আস্থা রাখা উচিত।আল-খবীর নামের জিকির আমাদের আত্মবিশ্বাস এবং ভরসা বাড়ায়, কারণ আমরা জানি যে আল্লাহ আমাদের প্রতি দয়ালু এবং সব কিছু জানেন।আল্লাহ সব কিছু জানেন, তাই তাঁর কাছে দোয়া করলে তিনি আমাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবেন, আমরা যে কিছু প্রার্থনা করি তা তিনি শোনেন এবং জানেন।
আল্লাহর নাম হালিম এর ফজিলত: আল-হালীম নামের জিকির আমাদেরকে কঠিন পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরতে সহায়তা করে এবং আমাদের মনোবল শক্তিশালী করে।ইয়া হালীম” (হে সহিষ্ণু) নামের জিকির আমাদের অন্তরে আল্লাহর দয়ার অনুভূতি তৈরি করে এবং আমাদের প্রতি তাঁর সহানুভূতির অভিজ্ঞতা দেয়।আল-হালীম নামের জিকির আমাদের মনে শান্তি এবং প্রশান্তি আনে, কারণ আমরা জানি যে আল্লাহ সবকিছু জানেন এবং তাঁর সহিষ্ণুতার মাধ্যমে আমাদের জীবনে ভালো কিছু হবে।
আল আজীম এর ফজিলত: আল-আজীম নামের জিকির আমাদের জীবনে শক্তি, সাহস, এবং আত্মবিশ্বাস এনে দেয়। কঠিন পরিস্থিতিতে এই নামের স্মরণ আমাদের মনোবল শক্তিশালী করে।আল-আজীম নামের জিকির বিপদের সময় সুরক্ষা এবং সাহায্য প্রদানে সহায়তা করে, কারণ আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ এবং তাঁর কাছে সব কিছু সম্ভব।এই নামের স্মরণ আমাদের আল্লাহর মহিমা এবং বড়ত্বের অনুভূতি দেয়, এবং আমাদের জীবনে তার নির্দেশিত পথ অনুসরণ করার জন্য প্রেরণা জোগায়।
আল-গফুর এর ফজিলত: আল-গফূর নামের মাধ্যমে আল্লাহ বান্দাদেরকে তাঁর অসীম ক্ষমা এবং মুক্তির আশ্বাস দেন। তিনি সবার পাপ ক্ষমা করেন, যারা তাঁর কাছে তওবা করেন।আল-গফূর নামের স্মরণ আমাদের ধৈর্য ধারণ করতে সাহায্য করে এবং আমাদের জীবনে আল্লাহর দয়া অনুভব করার মাধ্যমে মনোবলের শক্তি বাড়ায়।
আশ-শাকূর: আল-শাকূর নামের স্মরণ আমাদের শেখায় যে, আল্লাহ আমাদের কাছ থেকে সৎ প্রচেষ্টা, কৃতজ্ঞতা এবং ভালো কাজ গ্রহণ করেন, যতই ছোট বা বড় হোক না কেন।আল-শাকূর নাম আমাদের শেখায় যে, আল্লাহ আমাদের সব কাজের প্রতি কৃতজ্ঞ এবং আমাদের উচিত তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।আল-শাকূর নামের স্মরণ আমাদের শেখায় যে, আল্লাহ আমাদের ভালো কাজের প্রশংসা করেন এবং সেগুলোর জন্য পুরস্কৃত করেন।
আল-আলিইউ: আল-আলিইউ নামের স্মরণ আমাদের হৃদয়ে আল্লাহর মহিমা এবং শ্রেষ্ঠত্বের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা সৃষ্টি করে, যা আমাদের জীবনকে আরো প্রভূত করে তোলে।আল-আলিইউ নামের স্মরণ বিপদ এবং দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে সহায়ক। আল্লাহ যদি আমাদের সাহায্য করেন, তাহলে তাঁর অসীম ক্ষমতার মাধ্যমে আমরা সব বাধা অতিক্রম করতে পারি।
আল্লাহর নাম আল-কাবির এর ফজিলত: ইয়া কাবির” নামের জিকির আমাদের মধ্যে শক্তি, সাহস এবং আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে। আমরা জানি যে, আল্লাহ সর্বশক্তিমান, এবং তার সাহায্য ছাড়া কিছুই সম্ভব নয়।আল-কাবির নামের জিকির আমাদের ভালো কাজ করতে সহায়তা করে। আল্লাহ আমাদের কাজের প্রতি সন্তুষ্ট এবং আমাদের ভালো কাজের পুরস্কৃত করেন।
আল-হাফিজ এর ফজিলত: আল-হাফীজ” নামের স্মরণ আমাদেরকে আল্লাহর রক্ষা এবং সুরক্ষা থেকে আশ্বাস দেয়। এই নামটি স্মরণ করলে আল্লাহ আমাদেরকে শারীরিক, মানসিক এবং আধ্যাত্মিকভাবে রক্ষা করেন।আল-হাফীজ নামের স্মরণ আমাদের মনকে শান্তি প্রদান করে। এটি আমাদের মনে আশ্রয়, নিরাপত্তা এবং প্রশান্তি আনে, কারণ আমরা জানি আল্লাহ আমাদের সবকিছুর রক্ষক।আল-হাফীজ নামের জিকির আমাদের ঈমানের রক্ষা করে। আল্লাহ আমাদের হৃদয়ে ঈমানকে শক্তিশালী এবং সুরক্ষিত রাখেন।
আল-মুকীত ইয়া মুকীত” নামের জিকির আমাদের সমস্যা থেকে মুক্তি এবং আমাদের জীবনে সুরক্ষা ও শান্তি প্রদান করে। আল্লাহ আমাদের সকল বিপদ থেকে রক্ষা করবেন এবং শান্তি ফিরিয়ে আনবেন।আল-মুকীত নামের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর প্রতি আমাদের আস্থা এবং বিশ্বাস বৃদ্ধি করি। তিনি আমাদের সবকিছু প্রদান করেন এবং আমাদের জন্য পরিপূরক।
আল হাসিব এর ফজিলত: আল-হাসীব নামের স্মরণ আমাদের মনে রাখায় যে, আল্লাহ আমাদের সমস্ত ভাল কাজের পূর্ণ মূল্য দেবেন। তিনি আমাদের সৎকর্মের জন্য পুরস্কৃত করবেন এবং এটাই আমাদের জন্য আশীর্বাদ।এই নাম আমাদের মনে আশ্বাস দেয় যে, আল্লাহ প্রতিটি বিপর্যয় বা সমস্যার পরিপূর্ণ বিচার করবেন। আমরা যখন অনিশ্চয়তায় থাকি, তখন আল্লাহর বিচার আমাদের প্রতি থাকে এবং তা সঠিক হয়।আল-হাসীব নামের জিকির আমাদের মনে সান্ত্বনা দেয় যে, আল্লাহ আমাদের প্রতি ন্যায়বিচার করবেন। যেসব মানুষ আমাদের প্রতি অবিচার করে, তাদের জন্য আল্লাহ সঠিক বিচার দেবেন।
আল জালীল: আল-হাসীব নাম আমাদের শেখায় যে, আমাদের প্রতিটি কাজের সঠিক হিসাব নেওয়া হবে। আমাদের কাজগুলো সতর্কভাবে এবং আল্লাহর ইচ্ছা অনুযায়ী করা উচিত।আল-হাসীব নামের মাধ্যমে আমরা উপলব্ধি করি যে, আমাদের সমস্ত কাজ, চিন্তা এবং কথাবার্তা আল্লাহর সামনে রয়েছে এবং তার বিচার আমাদের জীবনের পথপ্রদর্শক হতে হবে।
আল কারীম: আল-কারীম নামের জিকির আমাদের জন্য আল্লাহর রহমত এবং দয়া আকর্ষণ করে। আল্লাহ আমাদের সর্বদা তার বিশেষ দানে পরিপূর্ণ করবেন।”ইয়া কারীম” নামের স্মরণ আমাদের অভাব দূর করতে সহায়তা করে এবং আল্লাহ তার অসীম দান ও অনুগ্রহে আমাদের প্রয়োজন মেটান।
আর রকীব এর ফজিলত: আর-রকীব নামের স্মরণ আমাদের আত্মবিশ্বাসী এবং সাহসী করে তোলে। যেহেতু আল্লাহ সবকিছু লক্ষ্য করেন, তিনি আমাদের সহায়তা করবেন এবং আমাদের বিপদে আমাদের রক্ষা করবেন। তার দৃষ্টি এবং তত্ত্বাবধান আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।এই নামের স্মরণ আমাদের অন্তরে শান্তি ও প্রশান্তি এনে দেয়। আমরা জানি, আল্লাহ সব কিছু দেখে এবং তিনি আমাদের পথের সব বাধা ও সমস্যা সঠিকভাবে পরিচালনা করেন।
আল মুজীব এর ফজিলত: আল-মুজীব নামের স্মরণ আমাদের জানিয়ে দেয় যে, আল্লাহ সর্বদা আমাদের প্রার্থনা গ্রহণ করেন। এই নামের মাধ্যমে আমরা প্রার্থনা করলে আমাদের দরকারি বিষয়গুলো আল্লাহ সহজেই পূর্ণ করবেন এবং তিনি কখনো আমাদের প্রার্থনা নাকচ করবেন না।যখন আমরা হতাশ বা উদ্বিগ্ন থাকি, “আল-মুজীব” নামের জিকির আমাদেরকে সাহস এবং প্রেরণা দেয়। আল্লাহ আমাদের সাহায্য করতে দ্রুত আসবেন এবং আমাদের পরিস্থিতি পরিবর্তন করবেন।
আল-ওয়াসি এর ফজিলত: ইয়া ওয়াসি'” নামের জিকির আমাদের প্রার্থনায় সহায়তা প্রদান করে। আল্লাহ যখন তাঁর অসীম দয়া এবং ক্ষমতা দিয়ে সাহায্য করেন, তখন আমাদের প্রার্থনাগুলি গ্রহণ হয়ে যায়।এই নামের মাধ্যমে আমাদের শেখানো হয় যে, আমরা আল্লাহর কাছে কোনো কিছু নিয়ে সীমাবদ্ধতা অনুভব না করে সাহায্য চাইতে পারি। তাঁর দয়া অসীম, এবং তিনি আমাদের সব প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম।
হাকীম” শব্দটি “যিনি সবকিছুতে সঠিক সিদ্ধান্ত ও ন্যায়সঙ্গত বিচার প্রদান করেন” অর্থে ব্যবহৃত হয়। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বোচ্চ জ্ঞানী, এবং তাঁর সিদ্ধান্ত সবসময় সঠিক ও ন্যায়সঙ্গত। আল-হাকীম নামের জিকির আমাদের মধ্যে অজ্ঞতা এবং দ্বিধা দূর করতে সহায়ক। আল্লাহ আমাদের অন্তরে সঠিক বুদ্ধি ও জ্ঞান প্রদান করেন।
ফজিলত: আল-ওয়াদুদ” নামের স্মরণ আমাদের মনে আল্লাহর অগণিত ভালোবাসার অনুভূতি তৈরি করে। আমরা জানি যে, আল্লাহ আমাদের প্রতি অশেষ ভালোবাসা ও দয়া প্রদর্শন করেন। আল-ওয়াদুদ নাম আমাদের শেখায় যে, আল্লাহ আমাদের প্রতি অগণিত ভালোবাসা এবং দয়া প্রদর্শন করেন। আমাদের উচিত তাঁর প্রতি আস্থা রাখা এবং তাঁর সাহায্য ও ভালোবাসায় শরণ নেয়া।আল-ওয়াদুদ নাম আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, আমরা সবসময় আল্লাহর ভালোবাসা অর্জনের জন্য কাজ করতে পারি।
ফজিলত: আমাদের কাজ, কথাবার্তা এবং মনোভাব সবসময় আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারে, যদি তা তাঁর ভালোবাসার উদ্দেশ্যে হয়।
ফজিলত: এই নামের স্মরণ আমাদের জীবনের সীমিততা এবং পরকালের বাস্তবতাকে স্মরণ করিয়ে দেয়।আল্লাহ আমাদের যেকোনো কঠিন মুহূর্ত থেকে জীবিত করতে পারেন এবং নতুন শক্তি প্রদান করতে পারেন।
ফজিলত: আল্লাহর নাম আল-শাহীদ আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় যে, তিনি সৎ ও ন্যায্য বিচারক। কোনোকিছু কখনোই তাঁর দৃষ্টির বাইরে নয়। আমাদের কাজ ও সিদ্ধান্ত, সে যাই হোক, আল্লাহ দেখেন এবং তাঁর সামনে সবকিছু স্পষ্ট থাকে।আল-শাহীদ নামের জিকির আত্মবিশ্বাস এবং আত্মশুদ্ধি আনে। যখন আমরা জানি যে, আল্লাহ সব কিছু জানেন, আমাদের মন ও হৃদয় বিশুদ্ধ থাকে এবং আমরা সব কাজে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের চেষ্টা করি।
ফজিলত: আল্লাহ সবকিছু জানেন এবং তিনি আমাদের সাহায্য করবেন, তাই আমাদের কোনো কিছুতেই ভয় পাওয়ার প্রয়োজন নেই।আল-হাক নামের স্মরণ আমাদের দুশ্চিন্তা এবং দুর্দশা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করতে পারে, কারণ এই নামটি আমাদেরকে জানায় যে, আল্লাহ সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেন এবং তাঁর বিচার সবকিছু সঠিকভাবে করবেন।
ফজিলত: আল্লাহই আমাদের জীবন ও সমস্ত কাজ পরিচালনা করেন, এবং তাঁর হাতে সবকিছু নিরাপদ। যখন আমরা কিছু জানি না বা কোনো বিপদে পড়ি, তখন আল্লাহর উপর নির্ভর করাটা সবচেয়ে সঠিক পদক্ষেপ।আল-ওয়াকিল নামের জিকির বিপদ বা ঝামেলায় পড়লে আল্লাহর সাহায্য ও সহযোগিতা এনে দেয়। এই নামের স্মরণ বিপদে স্থির থাকতে সাহায্য করে এবং আল্লাহ আমাদের সুরক্ষা দান করেন।
ফজিলত: এই নাম আমাদের জীবনে শান্তি নিয়ে আসে, কারণ আমরা জানি যে আল্লাহ আমাদের প্রতি সর্বদা নজর রাখেন এবং আমাদের সাহায্যের জন্য প্রস্তুত আছেন। আমরা যদি আল্লাহর উপর পূর্ণ ভরসা রাখি, তাহলে আমাদের মনে চিন্তা ও উদ্বেগ কমে যাবে।
ফজিলত: এই নামের মাধ্যমে আল্লাহ আমাদেরকে তাঁর অদ্বিতীয় শক্তি এবং শক্তির প্রতি বিশ্বাস রাখতে প্রেরণা দেন। আল্লাহর শক্তির মধ্যে কোনো প্রকার দুর্বলতা নেই, এবং তিনি কোনো কিছুতেই পরিবর্তন আনতে সক্ষম। তাঁর কাছে সকল কিছুই শক্তির মধ্যে আবদ্ধ।
ফজিলত: আল-ওয়ালী নাম আমাদের শেখায় যে, আমাদের উচিত আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা রাখা, কারণ তিনি আমাদের সাহায্যকারী, বন্ধুবান্ধব, এবং অভিভাবক। আমাদের তাঁর উপর ভরসা রাখতে হবে, যেহেতু তিনি সর্বদা আমাদের পাশে থাকেন।আল-ওয়ালী নাম আমাদের শিখায় যে, আমাদের উচিত আল্লাহর কাছে সঠিক পথের জন্য প্রার্থনা করা, যেহেতু তিনি আমাদের জীবনের প্রতিটি দিক ঠিকভাবে পরিচালনা করতে সক্ষম।
ফজিলত: আল-হামীদ নামের স্মরণ আমাদের হৃদয়ে আল্লাহর প্রশংসা এবং মহিমার প্রতি গভীর সচেতনতা সৃষ্টি করে। আমরা জানি যে, আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ প্রশংসার যোগ্য, এবং তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা ও দয়ালুতা অনুভব করলে আমাদের জীবনে একটি নতুন প্রজ্ঞা আসে।আল-হামীদ নামের জিকির আমাদের জীবনে শান্তি এবং সফলতা আনে। যখন আমরা আল্লাহর প্রশংসা করি, তখন তিনি আমাদের সুখ এবং সফলতা প্রদান করেন।
ফজিলত: আল্লাহ আমাদের প্রতিটি কাজ, চিন্তা এবং ইচ্ছার হিসাব রাখেন। এর ফলে আমরা সতর্ক হতে প্রেরিত হই এবং আমাদের কর্ম ও আচরণে সততা এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির দিকে এগিয়ে যেতে চেষ্টা করি।আল-মুহসী নামের স্মরণ আমাদেরকে সৎকর্ম করতে প্রেরণা দেয়, কারণ আমরা জানি যে আল্লাহ আমাদের সৃষ্টির প্রতিটি কাজের হিসাব রাখছেন। আমরা তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন করতে চাই এবং তাঁর হিসাবের দিনে সফল হতে চাই।
ফজিলত: আল-মুব্দী নাম আমাদের শেখায় যে, আল্লাহ সমস্ত সৃষ্টির প্রথম কারণ। আমরা তাঁর সৃষ্টির প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস রাখি, কারণ তিনি একমাত্র সৃষ্টির সূচনা করেছেন। তাঁর সৃষ্টির প্রতি শ্রদ্ধা ও প্রশংসা বৃদ্ধি পায়।আল-মুব্দী নামের জিকির আমাদের মনে এক দৃঢ় বিশ্বাস সৃষ্টি করে যে, আল্লাহ সৃষ্টির প্রতিটি মুহূর্তে আমাদের পাশে আছেন। তাঁর সাহায্যে আমরা নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করতে সক্ষম, এবং তাঁর সৃষ্টির অংশ হিসাবে আমাদের কাজ সফল হতে পারে।
ফজিলত: আল-মুইদ নামের জিকির করলে আমাদের মনোবল এবং শক্তি বৃদ্ধি পায়। আমরা বুঝতে পারি যে আল্লাহ আমাদের সাহায্য করতে এবং আমাদের শক্তি পুনঃস্থাপন করতে প্রস্তুত।আল্লাহ যেহেতু আমাদের সাহায্যকারী, তিনি আমাদের অন্তরের শক্তি বৃদ্ধি করবেন, যাতে আমরা আরও দৃঢ়ভাবে আল্লাহর পথে চলতে পারি।
ফজিলত: আল-মুইদ নামের মাধ্যমে আমরা শেখার চেষ্টা করি যে, আমরা যতই বিপদে পড়ি না কেন, আল্লাহ আমাদের শক্তি এবং সাহস প্রদান করবেন। এই নামের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর শক্তি ও ক্ষমতার প্রতি পূর্ণ আস্থা রাখি। যিনি আমাদের সৃষ্টিকর্তা, তিনি আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে আমাদের সাহায্য করবেন।
ফজিলত: আল-মুমিত নামের জিকির আমাদের মৃত্যুকে আল্লাহর একটি পরিকল্পনা হিসেবে গ্রহণ করতে সাহায্য করে। আমরা জানি যে, মৃত্যু কোন দুর্ঘটনা নয়, বরং আল্লাহর ইচ্ছায় আসে।আল-মুমিত নাম আমাদের শেখায় যে, মৃত্যুর সময় এবং পরিস্থিতি আল্লাহর হাতে। তাই আমাদের উচিত তাঁর ইচ্ছার প্রতি পূর্ণ সমর্পণ করা এবং দুনিয়াতে সৎ আমল করা।
ফজিলত: এই নাম আমাদের জানায় যে, আল্লাহ যিনি চিরকাল জীবিত, তিনি পরবর্তী জীবনের স্রষ্টা এবং মৃত্যুর পর আমাদের পুনর্জীবন ঘটাতে সক্ষম। আল্লাহর কাছে পুনর্জন্মের শক্তি রয়েছে, এবং তিনি চিরকাল জীবিত, সুতরাং তাঁর ইচ্ছায় মৃতদের পুনঃজীবিত করা সম্ভব।
ফজিলত: আল-কাইয়ূম নামের স্মরণ আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, আল্লাহ একমাত্র সত্তা, যিনি সৃষ্টির প্রতিটি কাজের পরিচালক। তিনি ছাড়া কোনো কিছু স্থিতিশীল বা সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। আল-কাইয়ূম নামের জিকির করলে আল্লাহর সাহায্য পাওয়া যায় এবং জীবনে বরকত আসে। এটি জীবনের কঠিন পরিস্থিতিতে শান্তি ও সঠিক পথ দেখায়।আল-কাইয়ূম নামের জিকির আমাদের বিশ্বাসকে দৃঢ় করে। আমরা জানি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো কিছু স্থায়ী এবং নিরাপদ নয়। তাই আমাদের কাজগুলো তার ওপর আস্থা রেখে সম্পন্ন করা উচিত।
ফজিলত: আল-ওয়াজিদ নামের জিকির আমাদের মনের মধ্যে ধৈর্য এবং আশা বৃদ্ধি করে। আমরা জানি যে, আল্লাহ সবকিছু জানেন এবং কোন কিছু হারিয়ে গেলে তিনি তা উদ্ধার করতে সক্ষম। এই নামের স্মরণ আমাদের মনোবল বাড়ায় এবং হতাশা দূর করে।এই নামের জিকিরের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সাহায্য পাওয়া সহজ হয়। যখনই কোনো সমস্যায় পড়ি, আল-ওয়াজিদ নামের স্মরণ আমাদের সেই সমস্যা সমাধানে সাহায্য করবে।
ফজিলত: এই নামের জিকির আমাদের জীবনের প্রতিকূলতা এবং কঠিন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দেয়। আল্লাহ সবকিছুর স্রষ্টা এবং শাসক, তিনি আমাদের পরিস্থিতি উন্নত করতে সাহায্য করবেন।
ফজিলত: আল-ওয়াহিদ নামের মাধ্যমে আমাদের মনে রাখতে হবে যে, আল্লাহ একমাত্র আমাদের তওবা গ্রহণকারী।আল-ওয়াহিদ নামের স্মরণ আমাদের শেখায় যে, আমাদের জীবনে আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো শক্তি বা সত্তার উপর নির্ভরশীল হওয়া উচিত নয়। তাঁর একক ক্ষমতার উপর আমাদের আস্থা রাখা উচিত।
ফজিলত: আল-আহাদ নামের স্মরণ আমাদের শেখায় যে, আমাদের জীবনের সমস্ত চাহিদা এবং সমস্যার সমাধান আল্লাহর কাছে। আমাদের উচিত তাঁকে ছাড়া অন্য কারও কাছে সাহায্য আশা না করা।এই নামের স্মরণ আমাদের আত্মবিশ্বাস এবং শক্তি দেয়। আমরা জানি, আল্লাহ একমাত্র আমাদের রক্ষা করতে সক্ষম এবং তিনি আমাদের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারেন।
ফজিলত: আল-ছমাদ নামের স্মরণ আমাদের মনে আল্লাহর অসীম ক্ষমতা এবং কর্তৃত্বের ব্যাপারে সচেতন করে তোলে।এই নামটি আমাদের শেখায় যে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো সত্তার উপর নির্ভরশীল হওয়া উচিত নয়। আল্লাহ একমাত্র সেই সত্তা, যাঁর কাছে সমস্ত সৃষ্টির প্রয়োজনীয়তা পূর্ণ হয়।
ফজিলত: আল-কাদির নামটি আল্লাহর অসীম ক্ষমতার প্রতীক। তিনি একমাত্র সত্তা, যিনি সমস্ত সৃষ্টি, পৃথিবী, আকাশ এবং জীবন পরিপূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম।আল-কাদির নামের জিকির আমাদের বিপদ থেকে মুক্তি এবং আল্লাহর শক্তি লাভের মাধ্যমে শান্তি এনে দেয়।
ফজিলত: আল-মুকতাদির নামটি আল্লাহর অদ্বিতীয় শক্তি এবং ক্ষমতা প্রকাশ করে। তিনি একমাত্র সত্তা, যিনি সমস্ত সৃষ্টিকে পরিচালনা এবং নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম।আল্লাহ সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেন এবং তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী আমাদের জীবনের সব কিছু ঘটবে।
ফজিলত: আল-মুকদিম নামটি আল্লাহর অদ্বিতীয় ক্ষমতা এবং ইচ্ছা প্রকাশ করে। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সাফল্য, সম্মান এবং প্রাধান্য প্রদান করেন, এবং যাকে ইচ্ছা তাকে পিছিয়ে দেন।আল-মুকদিম নামের স্মরণ আমাদের উদ্বুদ্ধ করে যে, আল্লাহ যদি আমাদের ওপর সন্তুষ্ট হন এবং আমাদের সহায়তা করতে চান, তবে তিনি আমাদের সামনে অগ্রগতি এনে দেন। আল-মুকদিম নামের জিকির আমাদের কাজে অগ্রগতি এবং সফলতা এনে দেয়। আমরা যখন আল্লাহর সাহায্য কামনা করি, তখন আল্লাহ আমাদের পথ প্রশস্ত করেন এবং আমাদের সফলতা দেয়।
ফজিলত: আল-মু’আক্কির নামটি আল্লাহর অমোঘ ইচ্ছার এবং ক্ষমতার প্রকাশ। আল্লাহ যাকে চান, তাকে কিছু কিছু সময় পিছিয়ে দেন এবং যাকে চান, তাকে অগ্রসর করেন। কোনো কিছু ঘটানোর জন্য আল্লাহর ইচ্ছাই সর্বোচ্চ।আল-মু’আক্কির নামের জিকির আমাদের মনে বিশ্বাস এবং আস্থা বৃদ্ধি করে যে, আল্লাহ যা করেন তা আমাদের ভালোর জন্যই হয়। আমাদের জীবন এবং সময়ের পরিচালনা আল্লাহর হাতে।
ফজিলত: আল-আউয়াল নামটির ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর সেই শক্তি এবং ক্ষমতা প্রকাশ করে, যিনি সকল সৃষ্টির প্রথম কারণ। আল্লাহ ছিলেন, এবং তার পূর্বে কিছু ছিল না। তাঁর থেকেই সব কিছু সৃষ্টি হয়েছে, এবং তাঁর হাতেই সব কিছু সূচনা হয়েছে।আল-আউয়াল নামের স্মরণ আমাদের জীবনে সফলতা এবং উন্নতি নিয়ে আসে, কারণ আমরা জানি যে, সবকিছুর শুরু আল্লাহর ইচ্ছা অনুযায়ী হয়ে থাকে। তাঁর কাছে সব সফলতার চাবিকাঠি রয়েছে।
ফজিলত: যখন আমরা জানি যে, আল্লাহ সৃষ্টির শেষ পরিণতি নির্ধারণ করেন, তখন আমাদের মধ্যে শান্তি এবং স্থিরতা আসে। আল-আখির নামের স্মরণ আমাদের আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস বৃদ্ধি করে। যেহেতু তিনি একমাত্র সত্তা যিনি সব কিছু শেষ করেন, তার ইচ্ছার বাইরে কিছু ঘটতে পারে না।
ফজিলত: তার কুদরতের মাধ্যমে সব কিছু প্রকাশিত হয় এবং আল্লাহ ছাড়া আর কেউ কোনো কিছু স্পষ্ট বা দৃশ্যমান করতে পারে না।আল-জাহির নামের স্মরণ আমাদের আধ্যাত্মিক জ্ঞান এবং প্রজ্ঞা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। যখন আমরা জানি যে, আল্লাহর প্রদর্শিত পথই সঠিক, তখন আমাদের মন পরিষ্কার এবং সচেতন হয়।
ফজিলত: আল্লাহ তায়ালা সব কিছু জানেন, এমনকি মানুষের মনের অন্তরাল বা গোপন চিন্তাও। আল-বাতিন নামটি আল্লাহর সেই অসীম ক্ষমতাকে প্রকাশ করে, যিনি সব কিছু জানেন যা আমাদের চোখের অন্তরালে থাকে। আল-বাতিন নামের জিকির অন্তরকে শুদ্ধ করতে সহায়তা করে। যখন আমরা জানি যে, আল্লাহ আমাদের অন্তরের সকল অবস্থা জানেন, তখন আমরা আরও সতর্ক থাকি এবং সৎভাবে জীবনযাপন করি।
ফজিলত: আল-ওয়ালী নামটি আল্লাহর সুরক্ষার প্রতীক। তিনি নিজের বান্দাদের সব বিপদ, কষ্ট এবং বিপর্যয় থেকে সুরক্ষা দেন।আল্লাহ আমাদের প্রতিপালক এবং সহায়ক, তখন আমাদের জীবনে যে কোনো কঠিন পরিস্থিতির মোকাবেলা করা সহজ হয়ে যায়।
ফজিলত: আল-মুতা’আলী নামটি আল্লাহর অসীম মহিমাকে প্রকাশ করে। তিনি সব কিছু থেকে উচ্চতর এবং তার গৌরব ও শ্রেষ্ঠত্ব কল্পনারও বাইরে।আল-মুতা’আলী নামের জিকির আল্লাহর অসীম মহিমা উপলব্ধি করতে সাহায্য করে। এটি আমাদের মনে সতর্কতা ও পরিণত ভাবনা তৈরি করে এবং আল্লাহর গৌরবের অনুভূতি বৃদ্ধি করে।
ফজিলত: আল-বার নামটি আল্লাহর অসীম দয়া এবং করুণাকে প্রকাশ করে। তিনি সৃষ্টির প্রতি দয়া করেন এবং তাদের সব বিপদ থেকে মুক্তি দিতে সহায়তা করেন। আল-বার নামটি উচ্চারণ করার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি আল্লাহর কাছ থেকে সাহায্য, সুরক্ষা এবং দয়া প্রাপ্তি আশা করতে পারে। এটি বিপদের সময় তার উপকারে আসতে পারে এবং আল্লাহর রহমত অর্জন করতে সাহায্য করে।
ফজিলত: আল-তাওয়াব নামটি আমাদের জানায় যে, পাপীরা যদি তওবা করেন, আল্লাহ তাদের পাপ মাফ করে দেন এবং তাদের সঠিক পথের দিকে পরিচালিত করেন। কোন পাপী আল্লাহর কাছে তওবা করলে তিনি তাদের দুঃখ-কষ্ট দূর করে তাদেরকে শান্তি ও সাফল্য দান করেন।
ফজিলত: আল-মুনতাকিম নামটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, আল্লাহ যখন শাস্তি দেন, তখন তার সাথেই থাকে অনুগ্রহ ও ক্ষমাও। আল্লাহ আমাদের সহায়তা করবেন এবং তিনি শত্রুদের শাস্তি দেবেন, যদি তারা অন্যায় ও অবিচার করে থাকে।
ফজিলত: আল-আফুউ নামটি আমাদের শিক্ষা দেয় যে, আল্লাহ সমস্ত পাপ ও অপরাধ মুছে দেন, যদি কেউ তওবা করে।আল-আফুউ নামের মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি যে, আল্লাহর ক্ষমা এবং মেহেরবানী কখনোই সীমাবদ্ধ নয়। তিনি সকল পাপ মুছে দেন এবং তাঁর বান্দাদের জন্য পরিপূর্ণ ক্ষমা প্রদান করেন।
ফজিলত: আর-রউফ নামটি আমাদের শেখায় যে, আমাদের জীবনেও আল্লাহর দয়া ও দয়ালু গুণাবলী থাকতে হবে। আমাদের উচিত অন্যদের প্রতি সহানুভূতি, দয়া ও ভালোবাসা প্রদর্শন করা, যাতে আমরা আল্লাহর কাছে আরো গ্রহণযোগ্য হতে পারি।
ফজিলত: মালিকুল মুলক নামটি আমাদের শেখায় যে, আল্লাহর রাজত্ব অমিত ক্ষমতাশালী। তিনি সমস্ত সৃষ্টির উপর একমাত্র শাসক এবং মালিক।সমস্ত সৃষ্টির মালিক, তখন আমাদের জন্য জীবনযাপনে তাঁর আদেশ ও নির্দেশিকা মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তিনি আমাদের জন্য সর্বোত্তম সিদ্ধান্ত এবং পথ নির্বাচন করেছেন।
ফজিলত: আল্লাহ তার বান্দাদের প্রতি দয়া প্রদর্শন করে এবং তাদেরকে সম্মানিত করেন। আল্লাহ যখন বান্দাকে সম্মানিত করেন, তখন তার জীবন পূর্ণ হয় শান্তি ও সুখে। এ নামের মাধ্যমে আমরা শিখি যে, আল্লাহর সম্মান অর্জন করা আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় পুরস্কার এবং এর মাধ্যমে আমরা তার দয়া ও শান্তি লাভ করি।
ফজিলত: আল-মুকসিত নামের জিকির আমাদের মধ্যে ন্যায্যতার অনুভূতি তৈরি করে। এই নামটির স্মরণ আমাদের জীবনের অমীমাংসিত সমস্যা সমাধানে সাহায্য করতে পারে। যখন আমরা ন্যায্য বিচার এবং সঠিক সিদ্ধান্তের জন্য আল্লাহর সাহায্য চাই, তখন আল্লাহ আমাদের পথনির্দেশনা দেন।
ফজিলত: আল-জামী’ নামের জিকির আমাদের একত্রীকরণ এবং ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে সহায়ক হয়। আমাদের উচিত একে অপরকে সম্মান এবং ভালোবাসা দিয়ে, নিজেদের মধ্যে ঐক্য সৃষ্টি করা।এই নামটির স্মরণ আমাদের জীবনের অমীমাংসিত সমস্যাগুলোর সমাধান করতে সহায়তা করতে পারে।
ফজিলত: আল-গনী নামটির স্মরণ আমাদের জীবনকে সচ্ছল ও নির্ভরশীল করে তোলে। যখন আমরা জানি যে, আল্লাহর কাছে সব কিছুই রয়েছে এবং তিনি আমাদের সকল প্রয়োজন পূর্ণ করেনআল্লাহ একমাত্র উৎস যিনি আমাদের জীবনে বরকত প্রদান করেন। আমাদের ধন-সম্পদ, সুখ-শান্তি এবং সফলতা আল্লাহর দয়ার ফলস্বরূপ।
ফজিলত: আল-মুঘনি নামের জিকির করা দ্বারা ব্যক্তির জীবনে আর্থিক উন্নতি এবং সমৃদ্ধি আসে। যেসব মানুষ আর্থিক কষ্ট বা অভাবের মধ্যে আছেন, তাদের জন্য এই নামের জিকির উপকারী হতে পারে। এই নামটির স্মরণ মানুষের জীবনে অভাব দূরীকরণে সহায়ক হতে পারে। আল্লাহ যে কোনো অভাব বা কষ্ট দূর করতে পারেন, এটি স্মরণ করার মাধ্যমে মানুষের মনে সাহস আসে
ফজিলত: আল-মানি’ নামটি জানায় যে, যে কোনো কিছু দেয়া বা না দেয়া সবই আল্লাহর ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল। এই নামটি আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় যে, কষ্ট বা সমস্যার সময়ও আল্লাহ আমাদের সঙ্গে আছেন।
ফজিলত: আল-দর নামটি আল্লাহর অশেষ দানশীলতার প্রতীক। আল্লাহ তাআলা সবকিছু তার ইচ্ছা অনুযায়ী দান করেন, এবং তিনি তার সৃষ্টির প্রয়োজন পূর্ণ করেন। তাঁর দানে কিছু সীমাআল্লাহ আমাদের উপকারের জন্য সবসময় প্রস্তুত আছেন, আমরা শুধু তাঁর কাছে দোয়া করতে পারি।
ফজিলত: আল-নাফি’ নামটি আল্লাহর কল্যাণদানের প্রতীক। আল্লাহ আমাদের জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কল্যাণ এবং উপকার প্রদান করেন।এই নামটি আমাদের শেখায় যে, আল্লাহ আমাদের সঠিক পথ প্রদর্শনকারী। জীবনের উদ্দেশ্য ও কাজের মধ্যে সফলতা ও কল্যাণ কেবল আল্লাহর দিকনির্দেশনা ও সাহায্য দ্বারা অর্জিত হতে পারে।
ফজিলত: আল-নূর নামটি মানুষের অন্তরে আলোর পথের দিশা দেয়। আল্লাহ যাঁকে চান, তাঁকে তাঁর নূর (আলো) দেন, যার মাধ্যমে সে জীবনকে সঠিকভাবে পরিচালিত করতে পারে। আল-নূর নামটির মাধ্যমে আমরা শিক্ষা গ্রহণ করি যে, আল্লাহ আমাদের বিশ্বাস, প্রজ্ঞা এবং আত্মিক শক্তি প্রদান করেন। তার নূর ছাড়া মানুষ প্রকৃতভাবে সফলতা অর্জন করতে পারে না।
ফজিলত: আল-হাদী নামটির মাধ্যমে মুসলিমরা জানে যে, তাদের জীবন সঠিকভাবে পরিচালিত হবে যদি তারা আল্লাহর হেদায়াতের দিকে মনোযোগ দেয়। তাঁর দয়ায় ও পথনির্দেশনায় আমাদের সঠিক পথে চলতে সাহায্য করা হয়। মানুষের চেষ্টা ও পরিশ্রম থাকলেও, সঠিক পথে চলার জন্য আল্লাহর হেদায়াত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ফজিলত: আল্লাহ তাআলা আল-বাদি’ নামের মাধ্যমে সমস্ত সৃষ্টির জন্য একমাত্র স্রষ্টা। তিনি পৃথিবী, আকাশ, মহাবিশ্ব, জীবজন্তু, উদ্ভিদ, মানবজাতি—সবকিছুকে নতুনভাবে এবং চমকপ্রদভাবে সৃষ্টি করেছেন। আল-বাদি’ নামের মাধ্যমে আমাদের জানা যায় যে, আল্লাহ যে সৃষ্টিকর্ম করেছেন তা নতুন এবং অপূর্ব। তার সৃষ্টির কোনো পুরনো আদি কিংবা একই রকম কিছু নেই। যা তিনি সৃষ্টি করেন, তা একান্তভাবে তাঁরই সৃষ্টি।
ফজিলত: আল্লাহ তাআলা আল-বাকী নামের মাধ্যমে তার অমরত্ব ও চিরকালীন অস্তিত্বের কথা জানান। সকল সৃষ্টির সমাপ্তি ঘটলেও আল্লাহ তাঁর চিরস্থায়ী অস্তিত্বের মধ্যে আছেন। আল-বাকী নামটি আমাদের জানায় যে, আল্লাহ একমাত্র নিরাপত্তার গ্যারান্টি। তাঁর দিকে ফিরে যাওয়ার মাধ্যমে আমরা চিরস্থায়ী শান্তি এবং নিরাপত্তা লাভ করতে পারি।
ফজিলত: আল-ওয়ারিস নামটি আমাদের জানায় যে, আল্লাহ তাআলা একমাত্র সৃষ্টির মালিক। পৃথিবীর সমস্ত কিছুই আল্লাহর। মানুষের ধন-সম্পত্তি, পরিচিতি, বংশধর—সবই আল্লাহর দেওয়া।
ফজিলত: আল-রাশীদ নামটি আমাদের জানায় যে, আল্লাহ তাআলা একমাত্র সঠিক পথের হেদায়াতকারী।তিনি মানুষের হৃদয়ে বুঝ এবং আলো ঢালেন, যাতে তারা সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে।আল-রাশীদ নামটি একটি পথপ্রদর্শকের নাম, যার মাধ্যমে আল্লাহ আমাদের সুখী ও শান্তিপূর্ণ জীবন উপহার দেন। যখন আমরা আল্লাহর হেদায়াত মেনে চলি, তখন আমরা শান্তি ও সমৃদ্ধি লাভ করি।
ফজিলত: আল-সবুর নামটি আল্লাহর অতিশয় ধৈর্য প্রকাশ করে। তিনি প্রতিটি সৃষ্টির প্রতি ধৈর্যশীল, এবং তার গুণাবলীর মধ্যে ধৈর্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র।আল-সবুর নামটি মুসলিমদের জন্য এক ধরনের আদর্শ। আমরা যদি আল্লাহর ধৈর্য থেকে অনুপ্রেরণা লাভ করি, তবে আমাদের জীবনে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে ধৈর্যশীল হতে শিখতে হবে।
আল্লাহর ৯৯ নাম বাংলায়
আল্লাহ তাআলা আমাদের সৃষ্টিকর্তা এবং বিশ্বের একমাত্র প্রার্থনাযোগ্য সত্ত্বা। আল্লাহর অনেক নাম রয়েছে, যা তাঁর অশেষ গুণাবলি এবং মহিমা প্রকাশ করে। যার মাধ্যমে আল্লাহর এককতা, ক্ষমতা, দয়া, দয়া, জ্ঞান, ইত্যাদি বোঝানো হয়। আল্লাহর নামগুলোর প্রতিটির গভীর অর্থ রয়েছে, যা আমাদের জন্য জীবনযাত্রার সঠিক দিশা প্রদান করে। নিচে আল্লাহর ৯৯ টি নাম বাংলায় উপস্থাপন করা হয়েছে।
আল্লাহর ৯৯ নাম বাংলায় |
আর-রহ়মান |
আর-রহ়ীম |
আল-মালিক |
আল-ক্বুদ্দূস |
আস-সালাম |
আল-মু’মিন |
আল-মুহাইমিন |
আল-’আযীয |
আল-জাব্বার |
আল-মুতাকাব্বির |
আল-খলিক্ব |
আল-বারি’ |
আল-মুসউয়ির |
আল-গফ্ফার |
আল-ক্বহ্হার |
আল-ওয়াহ্হাব |
আর-রযযাক্ব |
আল-ফাত্তাহ় |
আল-’আলীম |
আল-ক্ববিদ় |
আল-বাসিত |
আল-খ়¯ফিদ় |
আর-ঢ়¯ফি’ |
আল-মু’ইয্ব |
আল-মুঝ়িল |
আস-সামী’ |
আল-বাসী়র |
আল-হা়কাম |
আল-’আদল্ |
আল-লাতীফ |
আল-খবীর |
আল-হ়ালীম |
আল-’আযীম |
আল-গ’ফূর |
আশ-শাকূর |
আল-’আলিই |
আল-কাবীর |
আল-হ়াফীয |
আল-মুক্বীত |
আল-হ়াসীব |
আল-জালীল |
আল-কারীম |
আর-রক্বীব |
আল-মুজীব |
আল-ওয়াসি’ |
আল-হ়াকীম |
আল-ওয়াদূদ |
আল-মাজীদ |
আল-বা‘ইস় |
আশ-শাহীদ |
আল-হাক্ক্ব |
আল-ওয়াকীল |
আল-ক্বউই |
আল মাতীন |
আল-ওয়ালিই |
আল-হ়ামীদ |
আল-মুহ়সী |
আল-মুব্দি’ |
আল-মু’ঈদ |
আল-মুহ়ীই |
আল-মুমীত |
আল-হ়াইই |
আল-ক্বইয়ূম |
আল-ওয়াজিদ |
আল-মাজিদ |
আল-ওয়াহ়িদ |
আস-সমাদ |
আল-ক্বদির |
আল-মুক্বতাদির |
আল-মুক্বদ্দিম |
আল-মুআক্ষির |
আল-আউয়াল |
আল-আখির |
আজ়-জ়়হির |
আল-বাত়িন |
আল-ওয়ালি |
আল-মুতা’আলী |
আল-বার্র |
আত-তাওয়াব |
আল-মুন্তাক্বিম |
আল-’আফুউ |
আর-র’ওফ |
মালিকুল মুলক্ |
জ়়ুল জালালি ওয়াল ইকরম |
আল-মুক্বসিত় |
আল-জামি’ |
আল-গ’নিই |
আল-মুগ’নি |
আল-মানি’ |
আদ়-দ়়র্র |
আন-নাফি’ |
আন-নূর |
আল-হাদী |
আল-বাদী’ |
আল-বাকী |
আল-ওয়ারিস় |
আর-রশীদ |
আল-আহাদ |
আস-সবূর |
আল্লাহর ৯৯ নাম আরবিতে
যখন আমরা জীবনের কঠিন পরিস্থিতিতে থাকি, তখন আমরা আল্লাহর নামগুলো স্মরণ করে এবং তাঁর কাছে সাহায্য চাই। আল্লাহর প্রতি এই সমর্পণ একটি মহান আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা প্রদান করে। নিচে আল্লাহর ৯৯ টি নাম আরবিতে উপস্থাপন করা হয়েছে।
1
ٱلرَّحْمَٰنُ
2
ٱلرَّحِيمُ
3
ٱلْمَلِكُ
4
ٱلْقُدُّوسُ
5
ٱلسَّلَامُ
6
ٱلْمُؤْمِنُ
7
ٱلْمُهَيْمِنُ
8
ٱلْعَزِيزُ
9
ٱلْجَبَّارُ
10
ٱلْمُتَكَبِّرُ
11
ٱلْخَٰلِقُ
12
ٱلْبَارِئُ
13
ٱلْمُصَوِّرُ
14
ٱلْغَفَّارُ
15
ٱلْقَهَّارُ
16
ٱلْوَهَّابُ
17
ٱلْرَّزَّاقُ
18
ٱلْفَتَّاحُ
19
ٱلْعَلِيمُ
20
ٱلْقَابِضُ
21
ٱلْبَاسِطُ
22
ٱلْخَافِضُ
23
ٱلْرَّافِعُ
24
ٱلْمُعِزُّ
25
ٱلْمُذِلُّ
26
ٱلسَّمِيعُ
27
ٱلْبَصِيرُ
28
ٱلْحَكَمُ
29
ٱلْعَدْلُ
30
ٱللَّطِيفُ
31
ٱلْخَبِيرُ
32
ٱلْحَلِيمُ
33
ٱلْعَظِيمُ
34
ٱلْغَفُورُ
35
ٱلشَّكُورُ
36
ٱلْعَلِيُّ
37
ٱلْكَبِيرُ
38
ٱلْحَفِيظُ
39
ٱلْمُقيِتُ
40
ٱلْحَسِيبُ
41
ٱلْجَلِيلُ
42
ٱلْكَرِيمُ
43
ٱلْرَّقِيبُ
44
ٱلْمُجِيبُ
45
ٱلْوَاسِعُ
46
ٱلْحَكِيمُ
47
ٱلْوَدُودُ
48
ٱلْمَجِيدُ
49
ٱلْبَاعِثُ
50
ٱلْشَّهِيدُ
51
ٱلْحَقُّ
52
ٱلْوَكِيلُ
53
ٱلْقَوِيِيُ
54
ٱلْمَتِينُ
55
ٱلْوَلِيُ
56
ٱلْحَمِيدُ
57
ٱلْمُحْصِي
58
ٱلْمُبْدِئُ
59
ٱلْمُعِيدُ
60
ٱلْمُحْيِي
61
ٱلْمُمِيتُ
62
ٱلْحَيِّيُ
63
ٱلْقَيُّومُ
64
ٱلْوَاجِدُ
65
ٱلْمَاجِدُ
66
ٱلْوَاحِدُ
67
ٱلْأَحَدُ
68
ٱلصَّمَدُ
69
ٱلْقَادِرُ
70
ٱلْمُقْتَدِرُ
71
ٱلْمُقَدِّمُ
72
ٱلْمُؤَخِّرُ
73
ٱلْأوَّلُ
74
ٱلْآخِرُ
75
ٱلظَّٰهِرُ
76
ٱلْبَاطِنُ
77
ٱلْوَالِي
78
ٱلْمُتَعَالِي
79
ٱلْبَرُّ
80
ٱلتَّوَابُ
81
ٱلْمُنْتَقِمُ
82
ٱلْعَفُوُ
83
ٱلْرَّؤُوفُ
84
مَالِكُ ٱلْمُلْكُ
85
ذُوالْجَلاَلِ وَالإكْرَامِ
86
ٱلْمُقْسِطُ
87
ٱلْجَامِعُ
88
ٱلْغَنيُّ
89
ٱلْمُغْنِيُ
90
ٱلْمَانِعُ
91
ٱلضَّٰرَ
92
ٱلنَّافِعُ
93
ٱلْنُورُ
94
ٱلْهَادِي
95
ٱلْبَدِيعُ
96
ٱلْبَاقِي
97
ٱلْوَارِثُ
98
ٱلرَّشِيدُ
99
ٱلصَّبُورُ
শেষ কথা
কঠিন সময়ে আল্লাহর নাম স্মরণ করা এবং তাঁর প্রতি সমর্পণ শুধুমাত্র সমস্যার সমাধান নয়, এটি একজন মুসলিমের ঈমানকে আরও শক্তিশালী করে তুলে। আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রাখলে জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে তিনি আমাদের রক্ষক, সাহায্যকারী ও পথপ্রদর্শক হয়ে থাকেন হয়ে আমাদের সাহায্য করবেন।