তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম

তাহাজ্জুদ নামাজ: নিয়ম নিয়ত ও ফজিলত

“তাহাজ্জুদ” শব্দটি আরবি “হুজুদ” থেকে উদ্ভূত, যার অর্থ ঘুমানো, আর “তাহাজ্জুদ” অর্থ ঘুম ত্যাগ করা। এটি একটি বিশেষ নফল ইবাদত, যা রাতের শেষ প্রহরে ঘুম ভেঙে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে আদায় করা হয়। এই নামাজ আত্মশুদ্ধি, রহমত লাভ এবং আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপায়। রাসূলুল্লাহ (সা.) নিজে নিয়মিত তাহাজ্জুদ আদায় করতেন এবং উম্মতকেও তা পালনে উৎসাহিত করেছেন, যা একজন মুমিনের জীবনে অসীম কল্যাণ ও বরকত বয়ে আনে।

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত Tahajjud Namaz Niyat

নিয়ত মূলত অন্তরের ইচ্ছা, তাই এটি মুখে উচ্চারণ করা আবশ্যক নয়; বরং মনে দৃঢ় সংকল্প করলেই যথেষ্ট। তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত করার সময় অন্তরে এ কথা দৃঢ়ভাবে রাখতে হবে যে, এটি একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আদায় করছি। কেউ যদি ৪, ৬, ৮ বা ১২ রাকাত পড়তে চান, তবে সে অনুযায়ী নিয়ত স্থির করলেই হবে।

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত বাংলা উচ্চারণ

আরবি শব্দগুলোর উচ্চারণ যেন সঠিক হয়, এজন্য প্রয়োজনে অভিজ্ঞ কারো কাছে শিখে নিতে পারেন,যদি সেটি সম্ভব না হয় তাহলে সর্তকতার সাথে বাংলা উচ্চারণ করে শিখে নিতে পারেন। ভুল উচ্চারণ যেন অর্থ পরিবর্তন না করে, সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে-

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত উচ্চারণ  সহ

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত বাংলায়

যারা আরবি পারেন না তারা চাইলে বাংলাতেও নিয়ত করে নিতে পারেন-

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত বাংলায়

নিয়ত করার সময় অন্তরে দৃঢ়ভাবে ধারণ করতে হবে যে, আমি শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করছি।নিয়ত দ্রুত উচ্চারণ করা বা তাড়াহুড়া করা উচিত নয়।নে রাখতে হবে, নিয়ত শুধু মুখের কথা নয়, বরং অন্তরের সংকল্পই আসল।

আরো পড়ুন: পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষের তালিকা

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম

তাহাজ্জুদ নামাজের সময় শুরু হয় রাতের শেষ তৃতীয়াংশ থেকে ফজর হওয়ার আগ পর্যন্ত। রাতের এই অংশকে সবচেয়ে উত্তম সময় হিসেবে ধরা হয়। তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম অনুসরণ করলে, তা আল্লাহর নিকট বিশেষ মর্যাদা ও রহমত অর্জনের এক অনন্য উপায় হয়ে ওঠে।

তাহাজ্জুদ নামাজের নামাজের নিয়ম তাহাজ্জুদ নামাজ কিভাবে পড়তে হয়

অজু করুন: তাহাজ্জুদ নামাজ শুরু করার আগে অজু করে নিন।

কিবলামুখী হয়ে দাঁড়ান: নামাজের জন্য কিবলার দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে পড়ুন

নিয়ত করুন: “আল্লাহু আকবর” বলে নামাজের নিয়ত করুন।

ছানা পড়ুন: নামাজ শুরু করার আগে এই দোয়া পড়ুন:

সূরা ফাতিহা পড়ুন: নামাজের প্রথম রাকাতে সূরা ফাতিহা পাঠ করুন।

অন্য সূরা: এরপর, সূরা ফাতিহার পর কুরআনের যেকোনো অন্য সূরা বা আয়াত পড়ুন।

রুকু করুন: রুকুতে গিয়ে “সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম” তিনবার পড়ুন।

রুকু থেকে উঠে দাঁড়ান: রুকু থেকে উঠার পর “সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ, রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ” পাঠ করুন।

সেজদা করুন: সেজদাহে গিয়ে “সুবহানা রাব্বিয়াল আলা” তিনবার পড়ুন।

সেজদা থেকে উঠে বসুন: সেজদাহ থেকে উঠে বসুন।

পুনরায় সেজদা করুন: আবার সেজদাহে যান এবং “সুবহানা রাব্বিয়াল আলা” তিনবার পড়ুন।

দ্বিতীয় রাকাতে উঠুন: দ্বিতীয় রাকাতের জন্য উঠে দাঁড়ান।

আপনি এই পদ্ধতিতে দুই রাকাত করে আরও রাকাত আদায় করতে পারেন, যত রাকাত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে চান। এই নিয়ম অনুযায়ী আপনি নিয়মিত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে পারবেন এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি শ্রেষ্ঠ উপায় পেয়ে যাবেন।

আরো পড়ুন: পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানুষ

তাহাজ্জুদ নামাজ কত রাকাত

তাহাজ্জুদ নামাজ একটি নফল ইবাদত, যা মাধ্যেমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায় খুব সহজে।  তাহাজ্জুদ নামাজের রাকাত সংখ্যা কোনো নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে আবদ্ধ নয়; তবে এটি সাধারণত ২ রাকাত থেকে শুরু করে ১২ রাকাত পর্যন্ত পড়া যায়।  নিচে তাহাজ্জুদ নামাজের রাকাত সংখ্যা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

সর্বনিম্ন রাকাত সংখ্যা

তাহাজ্জুদ নামাজের সর্বনিম্ন রাকাত সংখ্যা ২ রাকাত। যারা নিয়মিত তাহাজ্জুদ পড়তে অভ্যস্ত নয়, তাদের জন্য এটি একটি ভাল সূচনা হতে পারে। সময়ের সাথে সাথে তারা রাকাত সংখ্যা বাড়িয়ে আরও বেশি রাকাত পড়তে পারেন। এতে নামাজ পড়ার অভ্যাস গড়ে উঠে এবং একসময় নিয়মিত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া সহজ হয়ে যায়।

তাহাজ্জুদ নামাজ কত রাকাত কিভাবে পড়তে হয়

সর্বাধিক রাকাত সংখ্যা

তাহাজ্জুদ নামাজের সর্বাধিক রাকাত ১২ রাকাত পর্যন্ত পড়া যায়। হাদিসে বিভিন্ন বর্ণনায় এসেছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) কখনো ৮, ১০, বা ১২ রাকাত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তেন।

আল্লাহর রসূল (সা.) সাধারণত ৮ রাকাত তাহাজ্জুদ পড়তেন, তবে কখনো কখনো ১০ বা ১২ রাকাতও আদায় করেছেন। তাহাজ্জুদ নামাজের শেষে তিনি ১ বা ৩ রাকাত বিতর নামাজ পড়তেন, যা রাতের শেষাংশে আল্লাহর কাছে আরও নৈকট্য লাভের একটি মাধ্যম হিসেবে গণ্য হয়।

প্রতি ২ রাকাত করে পড়া উত্তম: তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সর্বোত্তম পদ্ধতি হলো প্রতি ২ রাকাত করে নামাজ আদায় করা। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে এসেছে,
“রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: ‘তোমাদের মধ্যে কেউ যখন রাতে নামাজ পড়ে, তখন তা দুই রাকাত করে পড়বে।’” (সহিহ বুখারি, ৯৯০)

তাহাজ্জুদ নামাজের রাকাত সংখ্যা অত্যন্ত ব্যক্তিগত বিষয়। কেউ ২ রাকাত পড়ে শুরু করতে পারেন, কেউ ১২ রাকাত পর্যন্ত পড়তে পারেন। তবে প্রতি ২ রাকাত করে নামাজ পড়া সর্বোত্তম পদ্ধতি এবং এটি রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নির্দেশ অনুযায়ী আদায় করা উচিত।

আরো পড়ুন: আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ অর্থ এবং ফজিলত

তাহাজ্জুদ নামাজের সময়

তাহাজ্জুদ নামাজ একটি নফল ইবাদত, যা আল্লাহর কাছে আরও নৈকট্য লাভের এক অসাধারণ মাধ্যম। তবে, তাহাজ্জুদ নামাজের জন্য কিছু নির্দিষ্ট সময় রয়েছে, যা নামাজের ফজিলত ও গুরুত্ব বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

রাতের শেষ তৃতীয়াংশ: সেরা সময়

তাহাজ্জুদ নামাজের সবচেয়ে উত্তম সময় হলো রাতের শেষ তৃতীয়াংশ, যা সাধারণত ফজরের আগের সময়কাল। এই সময় আল্লাহ বান্দার দিকে বিশেষভাবে মনোযোগী হন এবং তাঁর দোয়া কবুল করেন। রাতের শেষ তৃতীয়াংশে আল্লাহ নিজেই আসমানী জাহান থেকে পৃথিবীর আকাশে নেমে আসেন এবং বান্দার মোনাজাত শোনেন। তাই, এই সময় নামাজ ও দোয়ার গুরুত্ব খুবই বেশি।

তাহাজ্জুদ নামাজের সময় কখন শুরু হয়

ইশার নামাজের পর: উত্তম সময়

ইশার নামাজ আদায় করার পর, কেউ চাইলে কিছু সময় জেগে থেকে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে পারেন। তবে, সবচেয়ে উত্তম হলো ইশার নামাজের পর কিছু সময় ঘুমিয়ে তারপর তাহাজ্জুদ পড়া। এই সময়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করার একটি বিশেষ মর্যাদা রয়েছে।

মধ্যরাত: গুরুত্ব বৃদ্ধি

ইশার নামাজের পর যত রাত গভীর হয়, তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব তত বেশি বৃদ্ধি পায়। মধ্যরাত থেকে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সময় এক ধরনের আধ্যাত্মিক শক্তি সঞ্চারিত হয়, যা বান্দাকে আল্লাহর সঙ্গে গভীর সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ দেয়।

তাহাজ্জুদ নামাজের সঠিক সময় নির্বাচন করলে, এটি আল্লাহর নিকট যাওয়ার এক অমূল্য সুযোগ হতে পারে। রাতে যখন সবকিছু শান্ত, আল্লাহর কাছে সেই সময় প্রার্থনা করা আরও বেশি প্রভাবশালী। তাই, রাতের শেষ তৃতীয়াংশে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি মুমিনের জন্য এক বিশেষ ধরণের ইবাদত।

আরো পড়ুন: ছেলেদের ইসলামিক নাম

তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত

তাহাজ্জুদ নামাজ হলো এক বিশেষ নফল ইবাদত, যা রাতের গভীরে আল্লাহর সাথে আরও গভীর সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ প্রদান করে। যদিও এটি একটি নফল নামাজ, তবে ইসলামে এর গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি। এটি নিয়মিত আদায় করলে আল্লাহ বান্দাকে বিশেষ মর্যাদা দান করেন এবং নানা রূপে লাভ অর্জিত হয়।

শারীরিক মানসিক উপকারিতা

গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, তাহাজ্জুদ নামাজ পড়লে মানসিক চাপ কমে, একাগ্রতা বৃদ্ধি পায় এবং মনোবল দৃঢ় হয়। এ ছাড়া, এটি শরীরের জন্যও উপকারী, কারণ রাতে প্রার্থনা করা মানুষের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়ক।

কঠিন বিপদ দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি

তাহাজ্জুদ নামাজ আল্লাহর রহমত লাভের অন্যতম একটি মাধ্যম। কঠিন সময় বা দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এটি বিশেষভাবে কার্যকর। আল্লাহর কাছে রাতের নিরব সময়ে প্রার্থনা করা, বান্দাকে প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ দেয়।

তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত-২

আত্মার শান্তি মানসিক প্রশান্তি

যারা নিয়মিত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়েন, তাদের অন্তরে এক বিশেষ প্রশান্তি অনুভূত হয়। দুশ্চিন্তা, হতাশা ও মানসিক অস্থিরতা দূর হয়ে যায়। তাহাজ্জুদ নামাজ মানুষের অন্তরকে প্রশান্ত করে এবং আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ ও ক্ষমা প্রার্থনা করার এক অনন্য সুযোগ দেয়।

জান্নাতের মর্যাদা লাভের উপায়

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “হে লোকেরা! সালাম প্রচার করো, মানুষকে খাদ্য দান করো, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখো এবং রাতে যখন মানুষ ঘুমিয়ে থাকে, তখন নামাজ পড়ো। তাহলে তোমরা শান্তিতে জান্নাতে প্রবেশ করবে।” (তিরমিজি, ২৫৪১)। এই হাদিস দ্বারা পরিষ্কার যে, তাহাজ্জুদ নামাজ জান্নাতে প্রবেশের একটি সুনির্দিষ্ট উপায়।

আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন

আল্লাহ তায়ালা সূরা আয-যারিয়াতের (১৭-১৮) আয়াতে বলেছেন, তারা রাতের সামান্য অংশেই নিদ্রা যেত এবং শেষ রাতে তারা ক্ষমা প্রার্থনা করত। তাহাজ্জুদ নামাজের মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর কাছাকাছি চলে যায় এবং তাঁর ভালোবাসা অর্জন করতে পারে।

পাপ মাফ হওয়ার সুযোগ

তাহাজ্জুদ নামাজ পাপ মাফ করার এক মহৎ উপায়। যেসব বান্দা নিয়মিত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করেন, তাদের গুনাহ মাফ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এটি একটি সুযোগ, যার মাধ্যমে আল্লাহ বান্দাকে তাঁর পূর্ববর্তী গুনাহ থেকে মুক্তি প্রদান করেন।

জান্নাতে উচ্চ মর্যাদা

তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়কারী ব্যক্তির জন্য জান্নাতে বিশেষ মর্যাদা নির্ধারিত রয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়কারীরা আল্লাহর নিকট বিশেষ মর্যাদা ও সম্মান লাভ করবে।

মুখের নূর হৃদয়ের প্রশান্তি

যারা নিয়মিত তাহাজ্জুদ পড়েন, তাদের মুখমণ্ডলে আল্লাহর রহমতের নূর ফুটে ওঠে এবং অন্তরে এক বিশেষ প্রশান্তি অনুভূত হয়। এটি বান্দার দৃশ্যমান ও অদৃশ্য জীবনে আল্লাহর রহমত ও প্রশান্তির এক নিদর্শন।

গোপন দোয়া কবুল হওয়ার সুযোগ

রাতের শেষ ভাগে আল্লাহর কাছে করা দোয়া দ্রুত কবুল হয়। তাই তাহাজ্জুদ নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলে তা শিগগিরি কবুল হয় এবং বান্দা আল্লাহর অনুগ্রহ লাভ করেন।

আরো পড়ুন: ধাঁধা উত্তর সহ মজার ধাঁধা

শেষ কথা: তাহাজ্জুদ নামাজ এক বিশেষ ইবাদত যা আল্লাহর সঙ্গে গভীর সম্পর্ক স্থাপন করতে সহায়ক। এটি বান্দার পাপ মোচন করে এবং জান্নাতে উচ্চ মর্যাদা লাভের সুযোগ দেয়। তাহাজ্জুদ নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা, আত্মবিশ্বাস ও শান্তি লাভ করা যায়। রাতের শেষ তৃতীয়াংশে এটি আদায় করা সবচেয়ে উত্তম এবং এই সময় আল্লাহ বান্দার দোয়া কবুল করেন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার তাওফিক দান করুন, আমিন।

Share this

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

close button